দক্ষ ও জনশক্তি জাতীয় উন্নয়নের একটি অপরিহার্য অনুসঙ্গ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিস্কার ও উদ্ভাবনের ফলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন কৌশল ও পদ্ধতির দ্রæত পরিবর্তন ঘটেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যবসা বাণিজ্য, দক্ষ জনশক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অসম ও প্রতিকূল প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এ অসম প্রতিযোগিতার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি ও শ্রমের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক ও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে দ্রæত দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। লক্ষণীয় যে, ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিপ্লোমা-ইন-সার্ভেয়িং এর সংযোজন ঘটানো। দেশের প্রয়োজন ছাড়াও বিদেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এই চাহিদা আরও বাড়বে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলব, পুরুষের পাশাপাশি মেয়েদের ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা-ইন-সার্ভেয়িং এবং ডিপ্লোমা-ইন-কম্পিউটার পড়া সবচেয়ে উত্তম, কারণ সরকারের প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে নারীদের জন্য ৩০% সংরক্ষিত কোঠা থাকে। সার্ভে ডিপার্টমেন্টে পড়াশুনা করা সবসময়ই মেয়েদের একটা অনীহা কাজ করে। আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাব, সার্ভে ডিপার্টমেন্টসহ ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পর্যন্ত মেয়েদের মধ্যে যতজন চাকুরী নিয়েছে তাতে ১% ও হবে না। যদি ধরে নেই ১% তাহলে ২৯% কোঠা শূন্য রয়েছে। আর এই শুন্য কোঠায় দরখাস্ত করলে ইন্টারভিউ বোর্ডে চাকুরী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। কিন্তু আমাদের মাঝে একটা ভুল ধারনা কাজ করে, মেয়েরা মাঠে গিয়ে জমি মাপার কাজ করবে ! আসলে কি তাই ! আমরা কি কখনো দেখেছি সরকারী সার্ভেয়ারকে মাঠে গিয়ে জমি মাপার কাজ করতে ? উত্তর পাওয়া যাবে একটাই, সে হলো “দেখি নাই”। তাহলে সার্ভেয়িং পড়তে অনীহা কেন ?
রওশন আরা মুন্নি
অধ্যক্ষ/পরিচালক
নবারুণ সার্ভে এন্ড পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
বাউফল, পটুয়াখালী।
01766961575